কাউকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে বিবাহপূর্ব প্রেম নামে যে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, ইসলামের দৃষ্টিতে তা হারাম। অনেকের প্রশ্ন থাকে শারীরিক সম্পর্কে না জড়ালে তা হারাম হবে কেন। এক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, প্রকাশ্য বা গোপন কোন অশ্লীলতার কাছেও যেয়ো না (সূরা আনমাম: ১৫১)। অপর আয়াতে এসেছে,
তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ (সুরা ইসরা: ৩২)। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, দুই চোখের ব্যভিচার হলো, (বেগানা নারী-পুরুষেরর দিকে) তাকানো, কানের ব্যভিচার যৌন উদ্দীপ্ত কথা শোনা, মুখের ব্যভিচার আবেগ উদ্দীপ্ত কথা বলা, হাতের ব্যভিচার স্পর্শ করা আর পায়ের জিনা ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হওয়া এবং মনের ব্যভিচার হলো চাওয়া ও প্রত্যাশা করা (মেশকাত, হাদিস : ৮৬)।
মানুষ যখন প্রেমে পড়ে, তখন সে তার মনের মানুষকে না দেখে থাকতে পারে না। সে দূরে থাকলেও তার ছবি দেখে অথবা তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে, কমপক্ষে তাকে নিয়ে স্বপ্নের বাসরে হারিয়ে যায়, যার প্রতিটি স্তরকেই উল্লিখিত আয়াত-হাদিসগুলোতে হারাম বলা হয়েছে। কারো প্রতি সত্যিই দুর্বলতা চলে এলে, পারিবারিকভাবে তাকে বিয়ে করে নেওয়া উচিত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।